ছাপানো পত্রিকা মাটির সম্পাদকীয়
এসেছে নতুন সময়। বাঙালির নতুন বছর। বাঙালির আত্মপরিচয় নবায়নের তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে মাতৃভাষা, স্বদেশ এবং সর্বক্ষেত্রে বাঙালির অর্জনের একটা পর্যালোচনা জরুরি। সাহিত্য এর বাইরে নয়। যারা প্রতিষ্ঠিত প্রবীণ সহিত্যিক, তাদের যেমন দায় রয়েছে নিজের রচনার দিকে ফিরে তাকানোর, তেমনি দায়িত্ব রয়েছে আজকের নবীন সাহিত্যিককে অনুপ্রাণিত করার। বাংলামাটি এ কথা কখনোই ভোলে নি, ভোলে না। ...বিস্তারিত
ছাপানো পত্রিকা মাটির সম্পাদকীয়
আটাশ বছর পর সাহিত্য পত্রিকা মাটি-র পুনর্জন্ম সম্ভব হলো লেখক-পাঠকদের আগ্রহে ও দাবীতে। যারা মাটিতে লিখতেন, যারা নিয়মিত এর পাঠক ছিলেন তাদের তৃষ্ণাপূরণ ও সন্তুষ্টিলাভ অন্য কোনো সাহিত্য পত্রিকার মাধ্যমে হয়নি, এটি বাস্তবতা। মাটির মতো আরেকটি পত্রিকা যদি পেতাম তাহলে এ নবযাত্রার প্রয়োজন পড়তো না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে, বিজয়ের মাসে মাটি-র পুনর্প্রকাশ এ সত্যটিই জানিয়ে দিচ্ছে, এদেশের যোদ্ধারা পরাভব মানে না; তা শত্রুকবলিত রণাঙ্গন হোক, কিংবা হোক সৃজনছন্দোময় শব্দের ...বিস্তারিত
৭ কবির সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কবিতা
রিমঝিম আহমেদমানুষ সমীপে .................... হিন্দু-মুসলিম শত্রু বটে, কখনো বন্ধু নয় এ কথা বলেছে যারা– তারাই দিয়েছে ফুঁক আগুনে, বাতাসের আস্কারা পানিতে মিশিয়ে ধর্মের বড়ি জল করে দিল ঘোলা তোমার দুয়ারে ঝোলায় কারা স্বর্গ নামক মুলা! তুমি কি পড়েছ ফাঁদে? তোমার আগুনে কেন তবে আজ মানবতা পুড়ে কাঁদে! তুমি কি শেখনি মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়ায় শুধু? সংবিধানের পাতা ভরে আছে ধূসরতা, ধুলো ধু ধু তারাই করেছে ভূমি দখলের নকশা চমৎকার দেশের ...বিস্তারিত
নিহত চিত্রের জন্যে শোকসংগীত: রাকীব হাসান
নিহত চিত্রের জন্যে শোকসংগীত রাকীব হাসান মনের ভিতরে পাখি আছে। সেই পাখির কত ঢঙ, তার রঙ, তার ভঙ্গি, আছে তার গান আর নৃত্য। আমার জীবনে পাখি দেখা এক চিরদিনের বিস্ময়! দেহ এবং দেহের ভাষা কন্ঠ ছাড়াই প্রকাশ করে দিতে পারে বসন্তের পাখি। যদিও কন্ঠ তার সুরের সর্বগ্রাসী আসন পেতে বাঁশি নিয়ে বসে আছে পৃথিবীতে কোটি কোটি বছর ধরে। এই যে পাখিদের শৈল্পিক জীবন, তাদের সাথে মানুষের শিল্পের নির্মোহ ...বিস্তারিত
দিক নির্দেশক: লিয়াকত হোসেন
লিয়াকত হোসেন
কয়েক বছর আগের কথা।জুরিখ রাইটার্স হাউসের আমন্ত্রণে সুইর্জাল্যান্ড গিয়েছি সেমিনারে যোগ দিতে। রাইটার্স হাউসের তিন তলায় এ্যাটাচ বাথরুম সহ সুসজ্জ্বিত কক্ষে থাকার ব্যাবস্থা। কিচেন,লাইব্রেরী, হলঘর দোতলায়। একতলায় অফিস। নিজস্য সোলার সিস্টেমে বিদ্যুত ও জলের ব্যাবস্থা নিয়ে অত্যাধুনিক রাইটার্স হাউজ। হাউজের বাইরে সবুজ লনে বসার ব্যাবস্থা। দূরে বিশাল নদী। নদীর পারে গড়ে উঠা জুরিখ শহর। রাইটার্স হাউজের আমন্ত্রণে এর আগেও জুরিখ এসেছি তবে কোন বারেই রাজধানী বার্ন দেখা ...বিস্তারিত
অকালে ঝরে পড়া এক নক্ষত্র
আলমগীর মোহাম্মদ
বায়রনের জন্ম ১৭৮৮ সালে লন্ডন শহরে। ফরাসি বিপ্লবের আগের বছর। অপ্রীতিকর শৈশবের পর তিনি বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হন। অতুলনীয় সৌন্দর্যের অধিকারী বায়রনের এক পা কিছুটা খোড়া ছিল। কন্ঠাকীর্ণ জীবন ছিল তাঁর। সমসাময়িক সাহিত্যিক স্কট তাঁর সম্পর্কে বলেছেন ;' বায়রন একজন সত্যিকার আন্তরিক হৃদয়ের মানুষ।' ১৮০৭ সালে ক্যাম্ব্রিজে পড়ার সময় তাঁর প্রথম বই " Hours of Idleness" ছাপা হয়। শুরুতেই প্রচন্ড সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে এই বইয়ের ...বিস্তারিত
করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত হলেও আতংক নয়
শামীম আহমেদ
গতকাল থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মিডিয়ায় সম্প্রতি ল্যান্সেটে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে যেসব রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে তা জনমনে আতংক ছড়াচ্ছে। এই বিষয়ে একজন জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক হিসেবে মানুষকে কিছু কথা বলা জরুরী বলে মনে করছি। গবেষণায় কী বলা হয়েছে, কেন এখনই এই ফলাফলকে চূড়ান্ত মেনে নিয়ে আতংকিত হবার দরকার নেই, এবং করোনা বায়ুবাহিত হলেও কেন আমরা আতংকিত হবো না এই বিষয়ে আলোকপাত করেছি। প্রথমেই দেখা যাক এই ...বিস্তারিত
জল ঝর্নায় একজন থেলারাও
আঁখি সিদ্দিকা
গত মাসের ২০ তারিখ খুউব তাড়াহুড়ো করেই ঢাকা থেকে ফেরা। রাস্তায় গাড়ী নেই। ঘন্টা দুয়েকঅপেক্ষা করে খুলনার বাস পেতে হলো। মাওয়া ঘাটে এসে আরেক বিপত্তি ফেরি বা লঞ্চ চলছে না। বসে থাকা সারা রাত। পর দিন সকালে ফিরতে ফিরতে সকাল ১১টা। এসে তুলির সাথে দেখা হলো না। অফিসে চলে গেছে। ওর দুশ্চিন্তা, ফোনে অস্থিরতার কারনেই এতো ঝুঁকি নিয়ে চলে আসা। আজ বুঝতে পারি ওর অনুমান আমার নিশ্চয়তার থেকে অধিক ...বিস্তারিত
করোনার কালে লেখাপড়া
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
করোনার কালে লেখাপড়া
মুহম্মদ
জাফর ইকবাল
করোনা মহামারি নিয়ে প্রাথমিক আতঙ্কটা মনে হয় একটু কমেছে। প্রতিদিনই খবরের কাগজে দেখছি
সিডনীর করোনা কড়চা
কাজী এমদাদুল হক
এ তো জানা কথাই, সময় কারো জন্যেই অপেক্ষা করে না। ছুটিতে ছেলেদের কাছে অল্প কিছু দিনের জন্যে বেড়াতে এসে এখন দেখছি মাঝখানে চার-চারটে মাস চলে গেছে। সেই ফেব্রুয়ারিতে এসেছি ছেলেদের কাছে। সিডনিতে দুই ছেলে একসঙ্গেই থাকে। বড় ছেলে বিয়ে করেছে, ওর সন্তান সাড়ে তিন বছরের। আমরা দাদা-দাদী এসেছি মূলত ওর সান্নিধ্যেই কাটানোর জন্যে। দুই ছেলে, বৌমা আর নাতির সঙ্গে আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনা বেশ আছি। তারপরও মনের একটা ...বিস্তারিত
বিচ্ছিন্ন অনুভব
মাহফুজা হিলালী
বাংলাদেশে প্রথম করোনা সনাক্ত হলো ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো, তখন থেকে মোটামুটি সব বন্ধ। মানুষ ঢুকে গেলো নিজের ঘরে। বহু বছর ধরে মানুষ শুধু দৌড়াচ্ছিলো। দিন নেই, রাত নেই দৌড়... দৌড়... এবং দৌড়...। ভোর, সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা, রাত, গভীর রাত, শেষ রাত কখনোই এ দৌড় থামতো না। করোনার কারণে সব থমকে গেলো। বাতাস দূষণমুক্ত হলো অনেকাংশে, শব্দ দূষণও কমে গেলো, গাছেরা ...বিস্তারিত
আম্মা
গুলজার হোসেন উজ্জ্বল
অবশেষে আমাদের আম্মা তার জীবনযন্ত্রণা থেকে মুক্তি নিলেন। আম্মা তার বেঁচে থাকার যুদ্ধে হেরে গেলেন। আম্মাকে চলে যেতে হলো তাঁর প্রিয় সন্তানদের কাছ থেকে। আম্মা একজন চিরসংগ্রামী মানুষ। এই জীবনে একমাত্র মৃত্যুই তাকে হারাতে পেরেছে। আর কিছুনা। আমাদের আম্মা আসলে কেতাবি ভাষায় 'আলোকিত মানুষ' বলতে যেটা বোঝায় সেটা ছিলেন না। আমাদের আব্বার ঠিক বিপরীত ছিলেন তিনি। আব্বা ছিলেন আমার বিচারে হাইলি ইন্টেলেকচুয়াল মানুষ। যা তিনি অর্জন করেছেন তার শিক্ষা, ...বিস্তারিত
করোনাভাইরাস: আজকের চিত্র
শামীম আহমেদ
করোনাভাইরাস নিয়ে প্রায় ২ সপ্তাহ কিছু লিখি না। সবার লেখা দেখছিলাম। পড়ছিলাম। বোঝার চেষ্টা করছিলাম। সবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যার যার নিজের চেষ্টা দিয়ে উঠে পড়ে লাগার যে প্রচেষ্টা এটা আমার অভূতপূর্ব মনে হয়েছে। যারা জনস্বাস্থ্যের মানুষ নন, তারাও পড়ালেখা করে কিছু একটা দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছেন, এবং তাদের এই চেষ্টা পুরোই যৌক্তিক কেননা আমিও আগেও বলেছি, এখনও বলি, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা কেউই প্রায় কিছুই জানি না। যারা এই বিষয়ে ...বিস্তারিত
করোনাদিনের গল্প: প্রহর
করোনাদিনের গল্প: প্রহর
শওকত চৌধুরী
সকাল থেকে আমতিন সাহেবের গলা ব্যথা হচ্ছে। সকাল থেকে আমতিন সাহেবের গলা ব্যাথা হচ্ছে- এটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় করোনাত্তোর বিশ্ব নেতৃত্ব কার হাতে বদল হচ্ছে, সেটা। নেতৃত্বের হাওয়া কোন দিকে যাচ্ছে পেপার-পত্রিকাগুলো ইতোমধ্যে একটু একুট করে ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে। টেলিগ্রাফের ইঙ্গিতটা চায়নার দিকেই। টেলিগ্রাফের আর্টিকেলটা এই নিয়ে বেশ কয়েকবার পড়েছেন তিনি। প্রতিবারই পড়ার সময় মনে এক প্রকার উত্তেজনা বোধ করেছেন। আচ্ছা এই উত্তেজনার ইংরেজী নাম কি? এক্সাইটমেন্ট? লেবু ...বিস্তারিত
করোনার দিনে ন্যাশভিলে বসন্ত
আবু এন এম ওয়াহিদ
আমাদের ঘরের সাথে ক্রেপ-মার্টল গাছে ফুল ফুটেছে। শীতের শেষে বসন্ত এসেছে। এসেছে আমাদের শহরেও - ন্যাশভিলে - পাড়ায় পড়ায় সবার আঙিনায়। গাছে গাছে ফুল ফুটেছে, বনলতায় কুঁড়ি এসেছে, কচি পাতা হালকা থেকে গাঢ় সবুজ রঙ ধরেছে। উদাসী বাতাসে গাছের বড় বড় পাতা পৎ পৎ করে নড়ে - সবুজ পতাকার মতন। পাখি ডাকে সারা ক্ষণ, যেন উৎসবে মেতেছে তারা! কিচিরমিচির আওয়াজ শুনি দিনে, ঘুমভাঙ্গা রাতেও - দূর ও কাছ থেকে ভেসে ...বিস্তারিত
কিংবদন্তী জামিলুর রেজা চৌধুরী স্মরণাঞ্জলি
ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী আমাদের জীবনে একজন সার্বিক শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন। জাতীয় জীবনে কয়েকজন এমন শিক্ষক আমরা পেয়েছি, যাঁরা সরাসরি শিক্ষক না হয়েও ‘স্যার’ সম্বোধন পেয়েছেন আপামর মানুষের হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকেই। আমাদের সময়কার মানুষদের মধ্যে দুজন এমন আদ্যোপান্ত শিক্ষক আছেন, যাঁদের আদ্যক্ষর সর্বজনবিদিত। একজন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সংক্ষেপে ইংরেজিতে তাঁর নামের আদ্যক্ষর এস আই সি-এর সমন্বয়ে ‘সিক’ স্যার, অন্যজন প্রয়াত জামিলুর রেজা চৌধুরী, সংক্ষেপে ‘জেআরসি’। ‘জেআরসি’ নামটার মধ্যেও ...বিস্তারিত
গযল্ কবিতা ও গান
ওমর শামস
১. ইতিহাস : কবিতার গযল্ গযল্-এর পূর্বসুর আরবী প্রাগ-ইসলামী ‘কাসিদা’ কবিতায় , যে-গুলোতে প্রতি দু-লাইনে অন্ত্যমিল থাকতো। বাগদাদে উমাইয়াদ, আব্বাসী আমলে ‘কাসিদা’ থেকে গযল্-এর রূপান্তর ঘটে। ইরানে প্রথম গযল্ লেখেন রুদাকী (৮৫৮ - ৯৪১)। শাদী, হাফিয, রুমী এঁরা সবাই গযল্-এর সার্থক সৃজক। সুলতানী আমলে ভারতবর্ষে, আমীর খুসরো গযল্ লিখেছিলেন ফার্সিতে ১৩ শতকে। তাঁর একটি গযল্ : খাবারম্ রসীদ ইম শব্ কে নিগার খাহি আমাদ স’রে মান ফিদায়ে রাহে কে সওয়ার খাহি ...বিস্তারিত
করোনা জয়ের গল্প: স্পর্শ
মূল: কারিনা এম জুরেখ / অনুবাদ: ফজল হাসান
সময়ের পরে সময়। এভাবেই সে বিশৃঙ্খলায় পরিণত হওয়ার ঘটনা মনে রেখেছে। টনির মনে হয় চিকিৎসার পরে শুভ্র পোশাক পরিহিত মহিলাই ম্যাসাজ করার তেল ক্রয় করেছে। তার ধৈর্য্য শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। কেননা মহিলা যেভাবে জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করছিল এবং নিজস্ব সীমানা অতিক্রম করে সব ধরনের নমুনা বের করে এনে তাকে দেখানোর জন্য টনির সহকারীকে রীতিমতো বাধ্য করার চেষ্টা করছিল, তাতেই টনির ধৈর্য্যে টান পড়ে। মহিলা বেশ কয়েকবার কাশে, কিন্তু কাশির সময় সে ...বিস্তারিত
প্রকৃতি বনাম চিকিৎসা বিজ্ঞান
সোহরাব সুমন
মাত্র দুই শতাব্দীর ব্যবধানে চিকিৎসাবিজ্ঞান মানুষের গড় জীবনকাল তিন কুড়ি দশ বছরে ফিরিয়ে এনে অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গুটিবসন্ত, টাইফয়েড, প্লেগের বিরুদ্ধে পুরোপুরি প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। তবে কুষ্ঠর নাম এখনো শোনা যায়। চিকিৎসকরা জন্মের পরপর এ্যাপেনডিক্স এমন সূক্ষ্মভাবে ফেলে দিতে সক্ষম যে ওটা আর মাঝবয়সে ঝামেলা পাকাতে পারে না। যদি করো চেহারা পুড়ে গিয়ে এমনভাবে বিকৃত হয়ে যায় যে তাকে আর চেনার উপায় নেই, তারপরও ছবি দেখে ...বিস্তারিত
গণ্ডোলা-শূন্য ভেনিসের জলমগ্ন শরীর
লুৎফুল হোসেন
অতো কোলাহল অতো ভীড় শহরের পরতে পরতে অন্তহীন অসঙ্গতি সংশয় দ্বিধা ও শঙ্কার প্রজাপতি অতোসব সকল কিছুর ছিলে তুমিই আমীর আজ অকস্মাৎ থমকে গেছে সব অজ্ঞাতনামা অদৃশ্য এক হন্তারক নীরবে জীবনের প্রদীপ ছলকে সর্বত্র আগুনের মতো উস্কে দিচ্ছে অনিচ্ছার প্রণতি শাহবাগ ফার্মগেট গুলিস্তানের পথ আগলে থকথকে মানুষের ভীড়ে মাদুলি বাকল তাবিজ তোমার ব্ল্যাকারের পকেট ভর্তি ফাঁপড় চীনেবাদাম ঘুগনি মুড়ি সিনেপ্লেক্সের কাউন্টার উপচানো মিশন ইমপসিবল ভিউ টু কিল ফর ইওর আইজ অনলি গোপন প্রেমগুলি নিভৃতে হচ্ছে বলি সহসা থমকে গেছে পশ্চিম গ্যালারির কাউন্টার সাফ ...বিস্তারিত
সিডনীর রাতদিন
কাজী এমদাদুল হক
শুরু হয়ে গেল রোজা। রোজার আগেই দেশে ফেরার কথা ছিল। ফেরা হলো না। করোনাভাইরাস এসে সব বদলে দিল। সেই ফেব্রুয়ারিতে এসেছি ছেলেদের কাছে। সিডনিতে দুই ছেলে একসঙ্গেই থাকে। বড় ছেলে বিয়ে করেছে, ওর সন্তান তিন বছরের। আমরা দাদা-দাদী এসেছি মূলত ওর সান্নিধ্যেই কাটানোর জন্যে। প্রায় দুমাস এখানে থেকে দেশে ফিরে আবার কাজে আত্মনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মহান আল্লার দরবারে আমাদের পরিকল্পনা কবুল হয়নি। এখানে আসার কিছুদিন পরই অল্প অল্প ...বিস্তারিত
মানবশূন্য ম্যানহাটন
রোমেনা লেইস
দুপুর বারোটা। জোন্স বীচ। লং আইল্যান্ড। নিউইয়র্ক। আজ বিশ এপ্রিল। এই মুহূর্তে তাপমাত্রা এখানে ৫২ ডিগ্রী। বিশ পঁচিশটি গাড়ি পার্কিং লটে। জোন্স বিচের ফিল্ড পাঁচে।বাথহাউসের পাশেই পার্কিং করে আমরা নামলাম।পুরা বেলাভূমি জুড়ে কেউ নেই। আটলান্টিকের সীমাহীন ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে। পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম বালুতটে। পুরা সীবীচ জুড়ে একজন মানুষ শুধু মাছ ধরছে। আর একটি গাঙচিল। গাঙচিল বালিতে শরীর ডুবিয়ে বসে রোদ পোহাচ্ছে। আমি খালি পায়ে ঢেউ এর জলে পা ডুবিয়ে বুঝলাম ...বিস্তারিত
করোনা-উত্তর পৃথিবী
শামীম আহমেদ
করোনা-উত্তর পৃথিবী কেমন হবে? সবকিছু কি একই থাকবে? পুরোপুরি বদলে যাবে? আমাদের সামাজিকতা, পারিপার্শ্বিকতা, আচরণ, ব্যবহার, সম্পর্কের নাট-বল্টুগুলো কেমন হবে? এই বিষয়ে অনেক তাত্বিক গবেষণা হচ্ছে, তৈরী হচ্ছে বৈজ্ঞানিক তথ্যচিত্র। তবে আমি আলোচনা করব খুব সাধারণ ভাষায় এমন সব বিষয়, যা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। ১) হাত মেলানো জরুরী না, কোলাকুলি আবার কেন? খুব স্বাভাবিকভাবে ভাবুন কয়েক মাস পরের কথা। করোনাভাইরাস যদি নির্মূল হয়, অথবা অনেকাংশেই কমে আসে, ...বিস্তারিত
নূরেমবার্গে গৃহবন্দী জীবন
হাসান ইফতেখার
ডিসেম্বরে যখন করোনার আভাস পেলাম তখন এর প্রভাব সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। কারোরই না। ক্রিসমাসের ছুটিতে গাড়িতে করে রওয়ানা দিলাম ফ্রাঙ্কফুর্ট। আমাদের বাসা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। স্ত্রী ও ছোট দুই ছেলে সাথে। মনের ভেতর কিছুটা উসখুশ। কী হবে ! ফ্রাঙ্কফুর্টে দুই রাত কাটিয়ে গেলাম আরো ২৫০ কিলোমিটার দূরে কোলনের কাছে। তিনদিন ওখানে থাকলাম। ভাবছিলাম আর এগানো ঠিক হবে কিনা। এবার আমাদের গন্তব্য উটরে, আমস্টারডামের কাছে। আরো আড়াইশ’ ...বিস্তারিত
করোনাকরুণ দিনযাপন
আহমাদ মাযহার
আজ বাইরে ঝকঝকে রোদেলা দিন। এই সপ্তাহের পুরোটাই ছিল মোটামুটি এই রকমের রৌদ্রকরোজ্জ্বল। দিনের এই প্রোজ্জ্বলতা মনটাকেও চঞ্চল করে তোলে। তাতে কী, করোনাবন্দিত্বের কারণে নিস্ক্রীয়-নিশ্চেষ্টই থকেতে হচ্ছে। অথচ স্বাভাবিক দিন থাকলে এখন পুরো উত্তর আমেরিকা জুড়ে দেখা যেত মানুষের দুর্বার রৌদ্র উদযাপন। এখনো ঠান্ডা থাকলেও গা উদলা করার তীব্র আগ্রহ দেখা যেত উত্তর আমেরিকাবাসীদের মধ্যে। কিন্তু করোনাবন্দিত্বের কারণে তা তো হবার উপায় নেই! সকালে ঘুম ভাঙতেই ...বিস্তারিত
পাহাড়ে অনাহারী
দীপনা চাকমা দীপু
করোনা ভাইরাসের কোন মন নেই। তাই দয়া মায়াও নেই। এই করোনা ভাইরাস এসে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দিচ্ছে এবং দিয়ে যাবে। কিসের জাত? কিসের ধর্ম? কিসের শ্রেণি? মূল সত্য হচ্ছে আমরা মানুষ। করোনা ভাইরাসের এই রাজত্বে বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। পুঁজিবাদের ভিত্তি নড়বড় হয়েছে। ভবিষ্যতে বিশ্ব মোড়লের জায়গাটা আমেরিকার দখলে থাকবে নাকি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র চীনের হাতে চলে যাবে সেটা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। সেই সাথে আশংকা ...বিস্তারিত
বসন্তের চিঠি
শিরীন বকুল
এখনো প্রতিদিন খুব সকালে আমার ঘুম ভেঙে যায়। এ আমার গত তিন বছরের অভ্যাসের সুফল। উঠেই জানালার কাছে দাঁড়াই। বাইরের দিকে তাকিয়ে প্রতিদিনের আবহাওয়া বোঝার চেষ্টা করি। রোদ-বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ, স্নো, দুরন্ত হিমেল হাওয়া বুঝেই পোশাক চাপাতে হয় শরীরে। এখন সব বন্ধ! ঘরে বন্দি সবাই। স্বেচ্ছাবন্দি-- যাকে বলে হোম কোয়ারেন্টাইন! ভয়াবহ এক মহামারিতে পৃথিবী এখন থমকে আছে এক বেদনার সমুদ্রে। দেশে দেশে মানুষ এখন কেবল সংখ্যা। রবীন্দ্রনাথের ...বিস্তারিত
লকডাউনে আনলক মন
এসএম কাফি
করোনা ঝুঁকিতে শীর্ষে ঢাকার বাসাবো, আর আমি এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। তাই- বাসা ছেড়ে পালাবার কোন পথ নেই। তবে পালাবার সুযোগ থাকলে কি পালানো যেত? এই লেখাটি লিখবার ফুরসতই পাইনি কাজের চাপে। আমার কাজ অনলাইনে। তাই যেখানেই কম্পিউটার সেখানেই আমার অফিস। বাসা নাকি বাসার বাইরে, তা বিবেচ্য নয়। এখন গৃহবন্দী, কিন্তু কাজ থেকে মুক্তি নেই। গত কয়টা দিন গেল কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের করোনা ডাটার আপডেট গ্রন্থনার কাজে। লকডাউন ...বিস্তারিত
|