গাড়িটার ঘুম ভাঙাই, ফুলের
পরাগে ঢাকা গাড়ির উইন্ডশিল্ড
চোখে সানগ্লাস পরে নিই
গভীর হ’য়ে ওঠে পাখিদের গান।
এদিকে রেলস্টেশনে একটা লোক
বিরাট মালগাড়িটার পাশেই
খবরের কাগজ কিনছে।
মালগাড়ির শরীরে লাল জং
একা একা দাঁড়িয়ে সূর্যের আলোয় জ্বলছে।
একটু ফাঁকা জায়গা এখানে কোথাও নেই।
বসন্তের উষ্ণতায় দাঁড়িয়ে শীতল করিডোর
সেখান থেকে কেউ একটা হঠাত্ দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে
এসে বলে, হেডঅফিসে মিথ্যা কলঙ্ক
রটে গেছে ওর নামে।
সামনে ছড়িয়ে থাকা প্রকৃতির
পিছনের দরজাটা গলে উড়ে আসে
তখন শাদা কালো দোয়েলপাখি।
কালো পাখিটার এদিক ওদিক লাফের ভিতর
শুধু দড়িতে শুকাতে থাকা
শাদা কাপড়গুলো ঝুলতে থাকে
আর বাকি সব কাঠকয়লায় আঁকা ছবি হ’য়ে যায়ঃ
যেন প্যালেসট্রিনার প্রাচীন সঙ্গীত।
একটু ফাঁকা জায়গা এখানে কোথাও নেই।
আমার শরীর ক্রমশঃ কুঁকড়ে ছোট হ’য়ে যেতে থাকে
ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে কবিতার ভ্রুণ,
অপূর্ব আবেগে কাঁপতে থাকে প্রাণ,
পাখির বাসার মত এ জীবন থেকে
আমাকে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তারপর
আমার অস্তিত্ব মুছে ফেলে জন্ম নেয় আমার কবিতা।