আমার প্রথম বই
সুশান্ত মজুমদার
নিয়মিত লেখালেখির বছর এগারো পর বের হয় আমার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ছেঁড়াখোঁড়া জমি।’ বইটি প্রকাশ করেন রূপম প্রকাশনী আন্ওয়ার আহমদ। তিনি ছিলেন কবি ও সম্পাদক। জীবৎকালে তিনি গল্পবিষয়ক পত্রিকা ‘রূপম’ ও কবিতা পত্রিকা ‘কিছুধ্বনি’ সম্পাদনা করতেন। কবিতা লেখা ও পত্রিকা সম্পাদনার সুবাদে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। আমার গল্পগ্রন্থ প্রকাশে তিনি আগ্রহ দেখালে তৎক্ষণাৎ শুরু হয় দারুণ এক অস্থিরতা যেন ভেতর ছুঁয়ে ছুঁয়ে অথির বিজলী যায় ছুটি। আমার গল্প গ্রন্থাকারে প্রকাশে ...বিস্তারিত
আমার প্রথম বই
শাহাদুজ্জামান
সে এক সময় ছিলো যখন থাকতাম মেডিকেলের অস্থি মাংসের জগতে কিন্তু মন পড়ে থাকতো আইডিয়ার পৃথিবীতে। এনাটমি, ফিজিওলজির বইয়ের নিচে থাকতো দস্তয়েভস্কি, মার্কেজ, কুন্ডেরা । দু পাতা প্যাথলজির বই পড়লে পাঁচ পাতা পড়তাম জীবনানন্দ। মেডিকেল চত্বরে গোলাগুলি, সামরিক শাসন, হরতাল। এরই ভেতর অন্ধকারে গান, ‘ও আলোর পথযাত্রী, এ যে রাত্রি, এখানে থেমো না।’ রুদ্ধশ্বাসে ভিসিআরের বোতাম টিপে সত্যজিৎ, মৃণাল, ঋত্বিক, গদার, ত্রুফো করতে করতে ভোর। চট্টগ্রামের ষোল শহর স্টেশনে ...বিস্তারিত
মা পৃথিবী মা প্রকৃতি
রাকীব হাসান
আমার স্ত্রী নাহার মনিকা একজন স্বনামধন্য কবি এবং কথাসাহিত্যিক, জীবনের এই পরিচয় একজন মানুষের সৃষ্টিশীলতার এক আনন্দময় পরিচয়। আমি ত্রিশ বছর ধরে ছবি আঁকি, পঁচিশটি একক প্রদর্শনী করেছি পৃথিবীজুড়ে। ছবি আঁকার পাশাপাশি কবিতা লিখি। এক ঘরে বসবাস করেও আমাদের আছে দুই আলাদা জগত। আমরা দুই বলয়ে সমান্তরাল দুইটি পথ। তারপরও একদিন যমজ কন্যা চারণ আর চিত্রণের জন্মে সমান্তরাল মিলিয়ে যুথিবদ্ধ চারজন। এই যে আমাদের চারজনের জীবন, সে ...বিস্তারিত
শ্রান্তিমোচনে শান্তিনিকেতনে
বিনু মাহবুবা
কলকাতা গেলেই শান্তিনিকেতন না যাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না । শান্তিনিকেতনে এবার নিয়ে পঞ্চম বারের মতো যাত্রা। ২৭ অক্টোবর সকালে বিমানে চড়ে বসলাম। যথা সময়ে বিমান উড়লো। ঢাকার আকাশে দলা দলা কালো মেঘ। ঝড়ের পূর্বাভাস যেন। ওমা, কয়েক মিনিট ওড়ার পর দেখি ঝকঝকে রোদের বন্যা আকাশে। মাত্র ৪০ মিনিটের উড়ালের জন্য কত কি ! দুদিন পর শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসে চড়বো বলে সকাল সকাল হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। ঠাঁসা মানুষ! ...বিস্তারিত
দূরের ঈদ
আফসানা বেগম
ঈদ আমার কাছে পুনর্মিলনের এক উৎসব। ঈদকে সামনে রেখে দেশব্যাপী মানুষের যে সফর বা যাতায়াত তার মূল উদ্দেশ্য আপনজনের সঙ্গে মিলন। আপনজনকে কাছে টেনে নেয়ার জন্য ঈদ যেন এক উপলক্ষ। তবে দেশের বাইরে বসবাস করলে এই উৎসব-উপলক্ষ অনেক সময় দৈনন্দিন জীবনে কোনো পরিবর্তন আনে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ অন্য অনেক দিনের মতোই একটা দিন কেটে যায়; সামান্য পরিবর্তন ছাড়া যেন একই ছন্দে বয়ে চলা। আর মনে মনে ...বিস্তারিত
ভাষা ভালোবাসা, ভাষা শরণার্থী
অ্যাঞ্জেলা মুহুরী
মাঝে মাঝে মা পাশে ফোনে আলাপ করে। আমি পাশ থেকে এক তরফা কথা শুনি আলগা করে। "... হ্যাঁ, না, আমার মেয়ে পঁচিশ বছর আগে এখানে এসেছে। না না বাংলা কেন ভুলবে? মাতৃভাষা না, ভোলা কি চাট্টিখানি কথা!" অনুমান করে নিতে কষ্ট হয় না, ওই তরফের উত্তর। ধরে নিন, এরকম কিছু একটা: "কি বলেন, বৌদি! আমার ছেলে/ মেয়ে/ জামাই/ ভাইপো তো মাত্র... বছর আগে এসেছে, এর মধ্যেই বাংলা-টাংলা ...বিস্তারিত
এক আশ্চর্য বয়স
ওয়াসিমা ওয়ালী
চৌদ্দে যেদিন পা রাখলাম মনে পড়ছে সেদিনের কথা। জানালার পাশে বসে স্থির দৃষ্টিতে নীলাকাশের দিকে চেয়ে থেকে ফোনে বান্ধবী কিশ-এর কথা শুনছিলাম, আর তর্জনী দিয়ে মাথার চুল মোচড়াচ্ছিলাম। আগামীতে কি করবে তার ফিরিস্তি দিচ্ছিলো সে, ওকে বড্ড ব্যস্ত মনে হলো। তার মানে আমার জন্য কারু কোনো সময় নেই! ফোন রেখে সটান বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। অসাড় মন নিয়ে সিলিং ফ্যানের ডানাগুলো গুনতে গুনতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম। ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকতাম ...বিস্তারিত
প্রজন্ম নক্ষত্র
রুখসানা কাজল
এটা কি ড্রেস রে ? দেওয়াল আয়নায় ঘুরে ফিরে নিজেকে দেখছিল রু। বিমুগ্ধ নার্সিসিজম ওর চোখে মুখে। কখন যে ওর দরোজায় রাহি এসে দাঁড়িয়েছে বুঝতেও পারে না মেয়ে। একটু চমকে ঘুমঘুম আচ্ছন্নতায় উত্তর দেয়, নাঙ্গেলি ! অসাম তাই না মা? বেবি ব্লু রঙের লং গাউন। গাউনের শেষে চিকন রূপালী লেস । বাম দিকের হাতা আছে ডান দিকের নেই। বরং ডান বগলের নিচ দিয়ে ডিপ কাট্ গলা উঠে ...বিস্তারিত
জলের মতন মন
রোমেনা লেইস
শিশু কিশোররা জলের মত । যে পাত্রে রাখা হয় সেরকম আকৃতি নেয়। ভাল বিদ্যাপীঠ ভাল শিক্ষক ভাল পারিবারিক শিক্ষা প্রত্যেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান সকল বাবা মায়ের কাছেই প্রিয়।সব বাবা মা চায় তার সন্তান সব দিক থেকে শ্রেষ্ঠ হয়ে বেড়ে উঠুক।আর এইজন্য কেউ কেউ সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন অনেক বোঝা। স্কুল, নাচ,গান,ছবি আঁকা, কারাতে, সাঁতার,আবৃত্তি,আরবী পড়া। এখন এই যে আমাদের সন্তানেরা সবার বুদ্ধিমত্তা কিন্তু একরকম না। কেউ কেউ এত ...বিস্তারিত
নাচগান ও বৃক্ষবাগান
নাসিমা আনিস
“তত্তচান মুখ কাত করা অবস্থায় নাম ফলকে লেখা আওয়াজ করে পড়লো, তোমোএ গাকুএন বিদ্যালয়। সে মাকে জিজ্ঞাসা করলো তোমোএ অর্থ কী? তখন তত্তচানের চোখে পড়লো এমন একটা জিনিস যাকে স্বপ্নে দেখেছে বলে তার মনে হলো। তত্তচান একটু নিচের দিকে ঝুঁকে গেটের গাছগুলোর ফাঁকের ভিতরে মাথা ঢুকিয়ে উঁকি দিলো। তত্তচান বিস্মিত হয়ে বললো ‘আমি দেখেছি’। সে মাকে জিজ্ঞাসা করলো,‘মা, এগুলো সত্যি রেলগাড়ি?’ খেলার মাঠে সারি সারি রেলগাড়ি।...রেলগাড়ির কামরায় ...বিস্তারিত
|