করোনাকাল
বিচ্ছিন্ন অনুভব
মাহফুজা হিলালী

প্রবন্ধ
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
শামসুজ্জামান খান

গল্প
ডায়মন্ড লেডি ও পাথর মানব
হামিদ কায়সার

গদ্য
নিদ্রা হরণ করেছিল যে বই
মিনার মনসুর

নিবন্ধ
পঞ্চকবির আসর
সায়কা শর্মিন

বিশ্বসাহিত্য
আইজাক আসিমভের সায়েন্স ফিকশন
অনুবাদ: সোহরাব সুমন

বিশেষ রচনা
প্রথম মহাকাব্যনায়ক গিলগামেশ
কামাল রাহমান

শ্রদ্ধাঞ্জলি
মুজিব জন্মশতবর্ষ
মারুফ রায়হান
 
সাক্ষাৎকার
কথাশিল্পী শওকত আলী

জীবনকথা
রাকীব হাসান

ভ্রমণ
ইম্ফলের দিনরাত্রি
হামিদ কায়সার

ইশতিয়াক আলম
শার্লক হোমস মিউজিয়াম

নিউইর্কের দিনলিপি
আহমাদ মাযহার

শিল্পকলা
রঙের সংগীত, মোমোর মাতিস
ইফতেখারুল ইসলাম

বইমেলার কড়চা
কামরুল হাসান

নাজিম হিকমাতের কবিতা
ভাবানুবাদ: খন্দকার ওমর আনোয়ার

উপন্যাস
আলথুসার
মাসরুর আরেফিন

এবং
কবিতা: করেনাদিনের চরণ

১৭ বর্ষ ০৩ সংখ্যা
অক্টোবর ২০২৪

লেখক-সংবাদ :





মাসরুর আরেফিনের আড়িয়াল খাঁ
মারুফ রায়হান
একটি নদীর নামে ফিকশন। তাও গদ্যের ঠকোমকোযুক্ত নাম। উপন্যাসের লেখক সম্মন্ধে যিনি ধারণা রাখেন না তার কাছে একটি গ্রন্থের নাম কী অর্থ বহন করে? নদী সংক্রান্ত কোনো গবেষণাকর্ম কি এটি? নাকি সাধারণ ইতিহাস, যাতে মিলবে নদীতীরবর্তী জনপদের নৃতাত্ত্বিক উপাদান? পাঠককে দোষ দেয়া যাবে না। এমনটাই পাঠকের সনাতন চিন্তাপ্রবাহ। একই লেখকের দার্শনিকের নামে নাম দ্বিতীয় উপন্যাস সম্পর্কে প্রাথমিক মনোভঙ্গিও ছিল অনুরূপ।
কিন্তু লেখকের আগের লেখালেখি সম্পর্কে সামান্যটুকুও পরিচয় না থাকা পাঠক ...বিস্তারিত


আন্ডারগ্রাউন্ড—সিস্টেম অ্যান্ড দ্য গ্রোটেস্ক ট্রুথ ইনসাইড?
আশরাফুল আলম শাওন
“...দেখার এটাও বাকি ছিল না যে, এই খুনে প্রান্তরে একদিন কোনো না কোনো এক বাঁকা ধরনের ব্যঙ্গচিত্র আঁকবার অপরাধে কাউকে কানে ও পায়ে বেদম মারা হবে, আর সেই ব্যঙ্গচিত্রের জন্য একটা বাঁকা ধরনের ক্যাপশন লেখার অপরাধে আরেকজনকে পিটিয়েই পৃথিবীছাড়া করা হবে..." (পৃষ্ঠা: ২০৩)
কিছুদিন আগে আমি বনে-জঙ্গলে ঘুরতে গেছিলাম, আর আমার সাথে ছিল দুইটা বই। সাথে করে নিয়ে গেছি। শুধু শেষ দশ পৃষ্ঠা বাকি ছিল বলে, এবং সেই ...বিস্তারিত


আলথুসার
মাসরুর আরেফিন
(প্রকাশিত উপন্যাসের নির্বাচিত অংশ)

মরা তিমির ওই হল রুম থেকে বের হবার জন্য আমি টেবিল ছেড়ে পৌঁছে গেলাম দরজার কাছে, ওই একই দরজা যা দিয়ে ঢুকেছিলাম হল রুমটায়।
আমার একটু আগে এ পথ দিয়েই বেরিয়ে গেছেন স্যামুয়েল, তার পেছন পেছন মেগান। তিমিটাকে কথা বলতে শুনে, তা-ও ও রকম বিধ্বংসী এক কথা, তখনো স্তম্ভিত হয়ে থাকা এই আমার হঠাৎ খেয়াল হলো যে এ বিরাট হল রুমে এ মুহূর্তে আমি ও ...বিস্তারিত


আর জে রাজহংসী
মারুফ রায়হান
সামান্য একটা জানালার পর্দা কীভাবে মানুষের মুড বদলে দেয়, অবাক হয়ে ভাবে লায়লা শর্মিন। মনের ক্যানভাসে আকস্মিকভাবেই নতুন রঙের প্রলেপ এসে পড়ে।  
অফ হোয়াইট দেয়ালের কনট্রাস্টে সোনালি রঙের এই পর্দাটার দিকে তাকালে প্রথম প্রথম মনটা ফুরফুরে হয়ে যেত তার। নতুন কোন অতিথি এলে, অতিথি মানে সাক্ষাতকার প্রদানকারী ব্যক্তি, হোন তিনি হালের ব্যান্ড গায়ক কিংবা ইউনিভার্সিটির তুখোড় ডিবেটার, কিংবা কোন উঠতি কর্পোরেট বস- পর্দাটার দিকে একবার না একবার ...বিস্তারিত


নয়
ক্লাবঘরের গেটের বাইরে একটা বক্স অফিসের মতো ঘর। ওরা ঢোকার জন্য তৈরি হয়ে সেখানে দাঁড়াতেই একটা উর্দিপরা লোক জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনারা আমাদের মেম্বার? কার্ড এনেছেন?’
‘না, আমরা মেম্বার না। বিদেশ থেকে এসেছি।’
‘সরি, আমাদের অনুষ্ঠান শুধু মেম্বারদের জন্য।’
ওরা পাশে সরে দাঁড়ালো। আরো কয়েকজন ওদের পেছনে লাইন করে দাঁড়িয়ে গেছে।
একজন টাক মাথাওয়ালা বয়স্ক লোক সুফীর কাঁধে টোকা দিয়ে বললো, ‘এক্সকিউজ মি, আপনারা বিদেশ থেকে এসেছেন বললেন। আর আমাদের ক্লাবের অনুষ্ঠানে ...বিস্তারিত


ফেরার পথে আরো কয়েকটা ছবি তুললো সুফী। ইলোরার পাহাড় কেটে হাতির ছবি আর কিছু ভাস্কর্যের। কিন্তু অজন্তার পর ইলোরা ওর কাছে অতো ভালো লাগলো না - যদিও দুটোর সৌন্দর্য দু’রকমের। অজন্তার হাতে আঁকা রঙিন ছবিগুলো অনেক জীবন্ত। বুদ্ধের ছবি ছাড়াও তখনকার  সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এগুলোতে তুলে ধরার চেষ্টা আছে। ইলোরার পাথর কেটে লীলায়িত ভঙ্গীতে নর্তকীর মূর্ত ভাস্কর্যগুলো ঠিক তখনকার দিনের সাধারণ মানুষের জীবনধারার সাথে খাপ খায় না। ...বিস্তারিত


ধারাবাহিক উপন্যাস
রূপে তোমায় ভোলাবো না
সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজ
(৫)
সকালবেলা হাত-মুখ ধুয়ে ডাইনিং রুমে যাবার জন্য ওরা দু’জনে তৈরি। ড. গুপ্ত বললেন, ‘সংঘমিত্রার দরজায় একবার টোকা দাও তো। দেখি ও রেডি কিনা!’
সুফী তাই করলো। কিন্তু কোন জবাব নেই। মনে হয় ও আগে উঠেই খেতে চলে গেছে। ডাইনিং রুমে ঢুকেও কিন্তু সংঘমিত্রাকে দেখতে পেল না। ওরা দু’জন একটা টেবিলে বসে পড়লো।
ব্রেকফাস্ট অর্ডার দিতে যাচ্ছে এমন সময় সংঘমিত্রা হাসিমুখে ঢুকলো ডাইনিং রুমে। বললো, ‘দেখেন দেখি এই চাদরটা কেমন ...বিস্তারিত


ধারাবাহিক উপন্যাস
রূপে তোমায় ভোলাবো না
সৈয়দ আনওয়ারুল হাফিজ
কথার ফাঁকে ফাঁকে সুফী তাকাচ্ছিল সংঘমিত্রার দিকে যতটা সম্ভব অভদ্রতা এড়িয়ে। এই প্রথম সে একটা মেয়ের এতো কাছে বসে এতক্ষণ ধরে কথা শুনছে। এ রকম অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি। ও ঠিক করতে পারছে না মেয়েটি সুন্দর কীনা? ওর চোখ দুটো স্বভাবতই একটু বাঁকা, সমতল ভূমির মেয়েদের মতো না। অতো বিস্ফারিতও না। ওপরের চোখের পাতায় ভাঁজটা প্রায় দেখা যায় না। হাসলে চোখের মণিটা প্রায় লুকিয়ে যায়। কিন্তু সব ...বিস্তারিত