দ্য লেক আইল অফ ইনিস্ফ্রি
জেগে উঠে চলে যাব আমি, চলে যাব ইনিস্ফ্রি
কুটির বানাবো কাদা ও কঞ্চিতে
শিমের ন’খানা সারি রবে, আর রবে মধুকোষ মৌমাছির
তারপর ভ্রমর গুঞ্জরিত বনছায়ায় একাকী দিনযাপন
আর সেখানে থাকবে কিছু শান্তি
যেমন নিশ্চলতা নেমে আসে ধীরপায়ে
ঝিঁঝিঁ ডাকা সকালের বোরখা ছুঁড়ে ঝপ করে
যেখানে দ্বিপ্রহর মিটিমিটি জ্বলে, বেগনি দ্যুতিতে রাঙে মধ্যাহ্ন ;
সন্ধ্যাও প্রগাঢ় লিনেটের ডানায়।
জেগে উঠে চলে যাব আমি নিরন্তর, রাতে ও দিনে
শুনতে পাই, হৃদ-জল ছলছল উপচায় কিনারার ভাঁজে,
যখনই দাঁড়াই কোন পথের বিবরে কিংবা ছাইরঙা ফুটপাথে
শুনি সে ছলছল অস্থিমজ্জার নিগুঢ়ে।
দি সেকেন্ড কামিং
বিস্তীর্ণ বলয়ে অবিরাম ঘূর্ণন
বাজ শোনে না বাজিকের ক্রন্দন ;
ছড়িয়ে পড়ে সব, কেন্দ্র না পারে ধরতে ;
টইটুম্বুর দুনিয়া নিছক নৈরাজ্যে।
শোণিত স্রোতধারা ভেঙে ফেলে বাঁধ এবং সর্বত্রে
পবিত্রতার উৎসব ডুবে যায় নিমিষে
বিশ্বাস পালিয়ে যায় আর উৎসাহে, আতিশয্যে
নিকৃষ্টেরা করে শাসন।
নিশ্চিতভাবে প্রতিভাস হাতের সন্নিকটে
সত্যিই আসন্ন দ্বিতীয়াগমন।
‘দ্বিতীয়াগমন’ উচ্চারিত হতেই এ শ্লোক
বেরিয়ে আসে প্রস্তর-মূর্তি ফুঁড়ে সাত আসমান;
ধাঁধিয়ে যায় চোখ আর কোন তপ্ত মরুর দগ্ধ বালিতেÑ
রূপ পায় প্রকাণ্ড এক আধা মানুষ আধা সিংহ অবয়ব।
বিহ্বল তার শূন্য দৃষ্টি, চকমকয় নিষ্করুণ সূর্যস্নাতে
ঊরুগুলো প্রসারিত করে ধীরে ধীরে, যখন চারিদিকে ডানার ছায়া ;
ঘৃণায় মোড়ানো মরু-পাখির অস্থির চক্কর।
অন্ধকার ধূপ করে নামলো আবার, কিন্তু আমি জানি এখন
বিশ শতকের পাথুরে ঘুমও
দুঃস্বপ্নে দেখেছে এ ঘূর্ণের দোলন,
আর এই যে কদাকার পশুটা, এর সময় হয়ে এসেছে
গুড়ি খেয়ে চলছে বেথলেহেমে, জন্ম হবে তার।